১৫ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার, ০৭:২৭ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
দ্বিতীয় মেয়াদে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বাংলাদেশ-পর্ব শেষ। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষের আগেই তাঁকে বরখাস্ত করেছে বিসিবি। আজ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তাঁকে বরখাস্তের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
সেই ব্যাখ্যায় ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলার সময়ে ক্রিকেটার নাসুম আহমেদকে চড় মারা বা শারীরিক লাঞ্ছিত করার যে অভিযোগ হাথুরুর বিরুদ্ধে, সেটার প্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন। ফারুক বলেন, ‘আমরা মানুষ। হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হতেই পারে। তবে একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে আপনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে পারেন না। সে কারণে যে শাস্তি পেতে হয়, সেটাই হচ্ছে (ছাঁটাই)। এটা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। এখন হয়েছে, আমি খুশি।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর নাজমুল হোসেন পাপনের বোর্ড একটি তদন্ত কমিটি করেছিল। সেই তদন্তেও হাথুরুর চড়-কাণ্ড এসেছে। তবু ফারুক নিজেই যাচাইবাছাই করে সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমার খারাপ লেগেছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার দেশের গৌরব, ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। ওই নামটা আর না নিই, ওটা ছিল কোচের অসদাচরণ। ভিকটিম, প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যক্ষদর্শীরও রিপোর্ট ছিল। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি।’
হাথুরুকে ছাঁটাই করতে আইনগত দিক খুঁটিয়ে দেখতে হয়েছে বিসিবিকে। হাথুরুকে বরখাস্ত করতে বিসিবির সুবিধা হয়েছে তাঁর অতিরিক্ত ছুটি ভোগের কারণে। বিসিবিকে না জানিয়ে বছরে তাঁর পাওনা ৪০ দিনের বেশি সময় কাটিয়েছেন হাথুরু। ফারুক বলছেন, ‘একজনের অসদাচরণের বিরুদ্ধে নোটিশ দেওয়ার কিছু নেই। সে যে সময় ছুটি কাটিয়েছে, সেটা ৩ মাসের বেশি। ওটাও অসদাচরণের অংশ। বিচ্ছিন্নভাবে তিনি ই-মেইলে জানিয়েছেন, তবে সেটা তিন মাসের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। আপনার জবাবদিহি থাকতে হবে। এখানে নিয়ম ভেঙেছেন, আমরা জানিয়েছি যে খেলোয়াড়ের সঙ্গে তার অসদাচরণ এবং একজন কর্মী হিসেবে নিজের অসদাচরণ।’
বরখাস্তের আগে হাথুরুর সঙ্গে ফারুকের কথা হয়নি। সভাপতির পক্ষ থেকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী তাঁকে চিঠি দিয়েছেন। হাথুরু যে ফারুকের পছন্দের তালিকায় ছিলেন না, সেটি তিনি সভাপতি হওয়ার আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন। সেটির প্রভাবই কি পড়েছে হাথুরুর বরখাস্ত হওয়ার ঘটনায়? ফারুকের ব্যাখ্যা, ‘ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না, আমি ওভাবে বলিনি। একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে বলেছি ওই কোচের বেশি কিছু দেওয়ার নেই। একজন কোচ হিসেবে তার সামর্থ্যে খুব বেশি আস্থা ছিল না।’
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে প্রথম মেয়াদে হাথুরু কাজ করেন ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে নিজেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বিসিবিকে। আর আরেকটি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে এবার তাঁকে মেয়াদ শেষের আগেই বরখাস্ত করেছে বিসিবি। সাবেক সভাপতি পাপনের ভীষণ পছন্দের হাথুরু বাংলাদেশে মাসে বেতন পেতেন প্রতি মাসে ৩৫ লাখ টাকার বেশি।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।